দিরাইয়ে শাহ আব্দুল করিমের প্রয়ান দিবস উপলক্ষে স্মরণানুষ্ঠান
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:২৭ অপরাহ্ণ
দিরাই প্রতিনিধিঃ “বাংলা মোদের মা জননী,আমরা ভাই ভগিনী/ ভেদ নাই হিন্দু মুসলমান, বাঙ্গালি বাংলা জবান” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সঙ্গীত মহাজন ভাটির পুরুষ বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের ১১ তম প্রয়ান দিবস উপলক্ষে শাহ আবদুল করিম স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উজানধল গ্রামে শাহ আবদুল করিম পরিষদের আয়োজনে স্মরণানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক আবদুল আহাদ। পরিষদের সভাপতি করিম পুত্র শাহ নুর জালালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ইউ এন ও মোঃ সফি উল্লাহ, শাহ আবদুল তোয়াহেদ সহ স্থানীয় গান্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বক্ত অনুরাগীরা। বক্তারা বলে, শাহ আবদুল করিম ছিলেন অসাম্প্রদায়িকচেতনার কবি। দারিদ্র ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া শাহ আবদুল করিমের সঙ্গীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। রাখাল বালক থেকে তিনি বাউল সম্রাট, ভাটির মানুষের দুঃখ দুর্দশার চিত্র তিনি সঙ্গীতের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন । তিনি পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক। তিনি শুধু প্রতিবাদী বাউলই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একুশে’র চেতনা, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহা মানব।
” স্বাধীন বাংলায়রে বীর বাঙালী ভাই, শোষনহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা চাই।” “কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু ছেড়ে যাইবা যদি’, ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’, ‘তুমি মানুষ আমিও মানুষ’, ‘প্রাণে সহে না দুঃখ বলব কারে’, ‘কোন মেস্তরি নাও বানাইল’, ‘ওরে ভব সাগরের নাইয়া’ সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার শাহ আবদুল করিম ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুযারি সুনামগঞ্জের দিরাই থানার ধলআশ্রম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ইব্রাহীম আলী ও মা নাইওরজান।২০০৯ সালের ১২সেপ্টেম্বর এই দিনে শাহ আবদুল করিম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।