মৌলভীবাজারে মণিপুরী মহিলাকে মারপিটের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৬:১৩ অপরাহ্ণ

 


কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের এক মণিপুরী মহিলাকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে । জানা যায় ,গত আগস্ট মাসে আদমপুর ইউনিয়নের ঘর থেকে ৬ বস্তা ধান চুরি হয়েছিল । এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করার অপরাধে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মণিপুরী এক বৃদ্ধা সবজি চুরির অপবাদে দিয়ে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটলেও রবিবার কমলগঞ্জ থানায় আহত বৃদ্ধার পক্ষে আরও একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। আহত মণিপুরী বৃদ্ধা কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট দিবাগত রাতে কাটাবিল গ্রামের মণিপুরী বৃদ্ধা চাউবিহান দেবীর বাড়ি থেকে ৬ বস্থা ধান চুরি হয়েছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অবহিত করে থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন বৃদ্ধা চাউবিহান দেবী (৬০)। থানার পুলিশ সন্দেহজনক নিয়ামত আহমেদ (২৮), শাকিল মিয়া (২৬) ও শামীম মিয়া (২৫ কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদকালে তারা তিনজন ধানী চুরির কথা স্বীকার করলে পুলিশ ৬ বস্তা ধানও উদ্ধার করে।

পুলিশ আটক তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করলে নিয়ামত আহমেদ ও শামীম মিয়া জামিমেুক্ত হলেও শাকিল মিয়ার জামিন হয়নি। কারাগারে থাকা শাকিল মিয়া কাটাবিল গ্রামের উমেদ মিয়ার ভাতিজা বলে এ ঘটনার জের ধরে উমেদ মিয়া মণিপুরী বৃদ্ধা চাউবিহান দেবীকে ডেকে নিয়ে তাকে খেতের কাকরোল চুরির অপবাদ দিয়ে আটকিয়ে স্ত্রীসহ তিনি (উমেদ মিয়া) মারপিট করেন। এলাকাবাসী চাউবিহান দেবীকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা চাউবিহান দেবী বলেন, মূলত আগষ্ট মাসে তার ঘরের ধান চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে কাকরোল চোর অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে উমেদ মিয়া ও তার স্ত্রী মিলে মারপিট করেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, বৃদ্ধা চাউবিহান দেবী জখম নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। তিনি এখন চিকিৎসাধীন আছেন।

আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনায় মৃণিপুরী বৃদ্ধা চাউবিহান দেবী আহত হয়েছেন। বিষয়টি সামাজিকভাবে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

অভিযুক্ত কাটাবিল গ্রামের উমেদ মিয়া বলেন, ধান চুরির অভিযোগে আটক ব্যক্তি ভাতিজা হলেও তাদের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। তাছাড়া ধান চুরির ঘটনার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। সবজি খেতের কাকরোল চুরি করে নেওয়া তাকে ডেকে এনে শাসিয়েছি। এসময় তার স্ত্রীকে গালাগালি দিয়ে চাউবিহান দেবী কুস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি মারপিট করেননি। দুই মহিলার কুস্তি ভাঙ্গাতে গিয়ে তিনি আহত হতে পারেন।

জাগোভাটি /আআ/২১-৯-২০/