এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ -অভিযুক্ত দিরাইয়ের রবিউল!

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক::সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের পরিচয় পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত ১০টায় গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। এ ঘটনায় ছাত্রবাসে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীদের দায়ী করে গণধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন।

এমসি কলেজ থেকে স্বামীসহ ওই তরুণীকে ধরে এনে ছাত্রলীগের ৫/৬ জন নেতা গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্তদের মধ্যে রবিউল ইসলাম নামে একজনের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবিউল দিরাইয়ের জগদল ইউনিয়নের বড় নগদীপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে সে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। জানা যায়, এর আগেও রবিউলের বিরুদ্ধে, মারামারি, ও অস্র মামলা সহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা হয়েছিল।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট মুরারীচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তরুণীকে ধর্ষণের সাথে ছাত্রলীগের ৬জন নেতা জড়িত ছিলেন। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ছবি স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।

এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও কলেজটিতে ইংরেজিতে মাস্টার্সে অধ্যয়রত শাহ মাহবুবুর রহমান রণি, একই শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাছুম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তারেক এ ঘটনায় জড়িত বলে জানা গেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ এদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন শাহপরান থানার উপর পরিদর্শক (এসআই) লিপটন পুরকায়স্থ।

অভিযুক্ত এসব কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের  সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রনজিত সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।

এবিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) জোর্তিময় সরকার বলেন, অভিযোগকারী নারীর স্বামীর বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার বিকেলে তিনি স্ত্রীসহ টিলাগড় এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। এসময় ৪/৫ জন তরুণ তাদের জিম্মি করে ছাত্রাবাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রাবাসের ভেতরের একটি রাস্তায় তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।

জাগোভাটি/আআ/২৭-০৯/২০/