বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২০, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
জাগোভাটি ডেস্ক::   বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা । সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাতে বন্দুকযুদ্ধে এক বাংলাদেশি ও তিন জন রোহিঙ্গা সদস্য নিহত হন। এ ঘটনার পর ক্যাম্পের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বিশেষজ্ঞরা এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে ‌‘কর্তৃত্বের দ্বন্দ্ব’ বলে মনে করছেন। তাদের মতে, ক্যাম্পে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও মানবপাচারসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা নিয়ে এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মাদ শহীদুল হক বলেন, ‘এটি রিসোর্সের দ্বন্দ্ব। যখন সম্পদ কম থাকে এবং অনেক পক্ষ থাকে তখন দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, অন্যান্য দেশের ক্যাম্পেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে।’
এই ঘটনাগুলো সন্ত্রাসী ঘটনা নয় বরং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বলে মনে করেন সাবেক ওই সচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা রোধের জন্য গোটা পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।’
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে সাবেক এ সচিব বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। তারা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
রোহিঙ্গা ন্যাশনাল টাস্কফোর্সের (এনটিএফ) কার্যক্রমকে আরও জোরালো করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শহীদুল হক বলেন, ‘এই টাস্কফোর্সে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে জড়িত সবাই সদস্য। এরা যদি নিয়মিতভাবে বিষয়টি মনিটর করে এবং মাঠ, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে দিক নির্দেশনা দেয় তবে অনেক অপ্রীতিকর বিষয় এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।’
প্রয়োজনে টাস্কফোর্সের বৈঠক কক্সবাজারে করা যায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যখন এনটিএফের বৈঠক হয় তখন সবাই সজাগ হয় এবং দায়িত্ব নিয়ে অবহেলার সুযোগ থাকে না। কারণ বৈঠকে সবাইকে জবাবদিহি করতে হয়।’
এছাড়া বিদেশি কূটনীতিকদেরও এ বিষয়ে সময়ে সময়ে ব্রিফিং করা দরকার, কারণ এর ফলে ক্যাম্পে কী হচ্ছে সে বিষয়ে সরকার কী করছে সেটি তারা জানতে পারে।
মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক ডিফেন্স এটাশে মোহাম্মাদ শহীদুল হক একই মত পোষণ করে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা শিক্ষিত এবং নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা রাখে। এদেরকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত করে এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে, ক্যাম্প ব্যবস্থাপনার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘এর ফলে ওই নেতাদের রোহিঙ্গাদের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা থাকবে। কারণ তারাই ওদেরকে মনোনীত করেছে। আবার অন্যদিকে সরকার তাদের সঙ্গে বসে ক্যাম্পের দেখভাল করতে সক্ষম হবে।’
জাগোভাটি/আআ/০৮-১০-২০/