দিরাইয়ে ধর্ষক রবিউলের সহযোগীদের অপতৎপরতা – ছাত্রলীগ নেতার গোপন যোগাযোগ ভাইরাল

প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২০, ৮:০০ অপরাহ্ণ

                                                       

নিজস্ব প্রতিবেদক:: এমসি কলেজ ছাত্রবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনার অন্যতম আসামি রবিউল ইসলামকে পুলিশের হাত থেকে বিভিন্নভাবে রক্ষার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, শুরু থেকেই ধর্ষক রবিউলকে বিভিন্ন কৌশলে আশ্রয় দেওয়াসহ তাকে পালানোরও সুযোগ করে দেয় ছাত্রলীগের জনৈক এক নেতা।

এবিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি গ্রুপ মেসেঞ্জার চ্যাটিংয়ের বার্তাগুলো ভাইরাল হয়ে যায়। এবং রবিউলের সহযোগীদের গ্রেফতার ও নিন্দা জানিয়ে ফেইসবুকে ঝড় উঠে।

স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানাগেছে, গ্রেফতার এড়াতে রবিউল ঘটনার পর থেকেই নিজ এলাকায় প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলে আশ্রয় নেয়, একপর্যায়ে হাওর পাড়ি দিয়ে গভীর রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তি আকিলশাহ হয়ে বোয়ালিয়াবাজার এবং নবীগঞ্জ থানায় আশ্রয় নেয়, এরপর নবীগঞ্জ থানা পুলিশে হাতে সে ধরা খায়।

জানা গেছে, জগদল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ গ্রুপ নামে একটি মেসেঞ্জারে গ্রুপে রবিউল তার অনুসারীদের মধ্যে কথা হয়। এতে দেখা যায়,আহমেদ জানে আলম নামে জগদল ইউনিয়নের এক ছাত্রলীগ নেতার সাথে রবিউল কথা বলে” যেখানে রবিউল কে উদ্দেশ্য করে সে বলে, মামা তোমার সিম টি বন্ধ করে দাও, এবং নতুন একটি সিম ব্যবহার কর।

রিগান নামে ছাত্রলীগ কর্মী তাকে উদ্দেশ্য বলেন, রবিউল মামা তুমি বাড়িত আইছ নি? তোমার আইডিটা কিছুদিনের জন্য   ্এনএক্টিভ করে দাও। এবং তুমি একটু সেইভ থাকিও।

ছাত্রলীগের আরেক কর্মী বলেন,আজকের মধ্যেই রবিউলকে ধরার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তাই থাকে আরও সাবধান হওয়া উচিত  ।

জানা যায়, ধর্ষক রবিউলকে রক্ষায় চেষ্টাকারি   জানে আলম পূর্বে ছাত্রদল করতো।একবছর হলো ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছে।ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীর সাথে কথা বললে তারা জানান, জানে আলকে কোনদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে দেখিনি।

এবিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক, সুহেল মিয়া বলেন, জানে আলম ছাত্রদলের একজন এক্টিভ কর্মী ছিল, কিছুদিন আগে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার উদ্দেশ্যে সে ছাত্রলীগের সাথে আসে। এরা অনুপ্রবেশকারি, এরা ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কার্যক্রম চালায়। রবিউলও বিভিন্ন প্রকারের অপরাধ করতো এদের সাথে যোগ হয়ে, সে সুবাদে রবিউলের সাথে তাদের সখ্যতা গড়ে উঠে। তারই প্রমাণ মিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া তাদের কথোপকথনের বিষয়টি।
অন্যদিকে, রবিউল তার সহযোগী ও বিতর্কিত ছাত্রলীগ নামধারী নেতাকর্মীদের জগদল ইউনিয়নে ২৯ আগষ্ট শোকসভায় অংশ নিলে স্থানীয় মুলধারার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে  প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

জানা যায় একসময় ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা জানে আলম রবিউলের মাধ্যমে   উপজেলা  মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতির দায়িত্ব ভাগিয়ে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ছাত্রদল ও জামাতের একাধিক কর্মী নিয়ে এলাকায় ছাত্রলীগের নামে একটি গ্রুপ তৈরি করে স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ছাত্র ছায়ায় এলাকায় প্রভাব সৃষ্টি করে রেখেছে।

 

 

জাগোভাটি/ আ জি প্র/০৯-১০-২০/