অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কঠোর হচ্ছে সরকার

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২০, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক::নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ,  বালু মহালে অবৈধ বোমা মেশিনসহ নানাভাবে পরিবেশ দুষণ নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, নদীর পাড়ে অবৈধভাবে তৈরি করা স্থাপনগুলো উচ্ছেদ করে নদীগুলোকে ঢেলে সাজানো হবে। যত প্রভাবশালীই কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না সাবধান করে সভায় জানানো হয়, নদীগুলোর নব্যতা ফিরিয়ে আনতে সরকার কঠোর হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ বলেন,   এখন থেকে ইজারাব্যতিত বালু মহালগুলোয় ইঞ্জিন চালিত বালু পাথর বহনকারী নৌযান চলাচল করতে পারবে না। যেহেতু মহালে বালু উত্তোলনেরই অনুমতি নেই, সেহেতু ওখানে বালু বহনকারী নৌ-যানেরও যাবার প্রয়োজন নেই। জেলা প্রশাসক বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ যেখানেই থাকবে, সেই সম্পদের মালিক সরকার। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় নদী, খালের তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করোনার আগে শুরু হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে এই অভিযান স্থগিত হয়ে যায়। এই উচ্ছেদ অভিযান আবারও শুরু হবে। সঠিকভাবে অবৈধ স্থাপনা নির্মূল করাই উদ্দেশ্য আমাদের। এজন্য গণমাধ্যম কর্মীদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।

সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের হল রোমে
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, ২৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল মেজর মাকসুদুল আলম, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন নাহার রুমা, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমীর বিশ্বাস, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’এর জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম, অ্যাড. শামছুন্নাহার বেগম শাহানা পিপি, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পীযুষ পুরকায়স্থ টিটু প্রমুখ।

সভার শুরুতেই জেলা প্রশাসনের এই সংক্রান্ত কাজের বিবরণি তুলে ধরেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাতুল হক। মতবিনিময় সভায় জেলায় ও বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল মাহবুব।

জাগোভাটি/আআ/১৩-১০-২০/