দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় আটক ১২

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২০, ২:৫৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক::সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার মধুরাপুর বাজারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত মঞ্জুরুল ইসলাম চৌধুরী লিটন এর সঙ্গে তার আপন ভাই জাহেদুল চৌধুরীর পক্ষের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় নুর মোহাম্মদ (৫০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার মধুরাপুর গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে।

সংঘর্ষের ঘটনায় আহত মধুরাপুর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে শফিকুননুর(৩৫), নুর জালালের ছেলে রেজু(১৯) ও মৃত সামীর আলীর ছেলে ফারুক আহমদ কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত মঞ্জুরুল ইসলাম চৌধুরী লিটন এর সঙ্গে তার আপন ভাই জাহেদুল চৌধুরীর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল দীর্ঘদিন ধরে। দুই ভাই আমেরিকা প্রবাসী।

লিটনের মৃত্যুর পর দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ আরও বেড়ে যায়। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার মধুরাপুর বাজারে দুই আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় হামলায় ,, ঘটনাস্থলেই নুর মোহাম্মদের মৃত্যু হয় এবং আহত হন কমপক্ষে ৪০ জন। আহতদের দিরাই, সিলেট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত নুর মোহাম্মদ লিটন চৌধুরীর গ্রুপের লোক। তাদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা গেছে, প্রয়াত লিটন চৌধুরীর পরিবার এবং জাহেদ চৌধুরীর পরিবার আমেরিকা থাকলেও গ্রামে বিবদমান দুটি গ্রুপ জাহেদ চৌধুরীর পক্ষে দিলো হক, রুমন ও আমজাদ এবং লিটন চৌধুরীর পক্ষে সুজন ও আবদুল খালেক গংরা নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ওদের নেতৃত্বেই দুটি গ্রæপ স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম  জাগোভাটি কে  জানিয়েছেন, আজকের ঘটনায় ১ জন নিহত হয়েছেন। ৪/৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, হতাহতের ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

জাগোভাটি/জি লি/আআ/১৩-১০-২০/