শাল্লায় ঝুকিপূর্ণ ক্লিনিক নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক -সংশ্লিষ্টদের দায়সারা উত্তর

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২০, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

পাবেল আহমেদ::সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ২ নং হবিবপুর ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের ভবনটি একটা সময় এলাকার আর্শিবাদ হয়ে আসলেও বর্তমানে এটি আতঙ্কের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

হবিবপুর ইউনিয়নের আছানপুর গ্রামের নদীর কিনারায় ক্লিনিকটি প্রতিষ্ঠা করেছিল জনস্বাস্হ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।তৈরিকালে ত্রুটিপূর্ণ কাঠামো বন্যা কিংবা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভবনটি পশ্চিম দিকে বাকা হয়ে পড়েছে।ফলে ক্লিনিকটি এখন ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।

অন্য জায়গায় আরেকটি নতুন ভবন হওয়ার দরুন আছানপুরের পুরাতন ক্লিনিকটি এখন পরিত্যক্ত হিসেবেই টের দাড়িয়েছে আছে। যেন দেখার কেউ নেই। তিলে তিলে ধ্বংস হচ্ছে সরকারি এই সম্পদটা।

এলাকার সচেতন নাগরিকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, পরিত্যক্ত ভবনটি ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় তারা দেখতে চায় না।

কর্মকর্তাদের দায়সারা কাজের দরুন একসময়ের আর্শীবাদ হিসেবে কাজ করা ভবনটি এখন এলাকাবাসীর শঙ্কার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। যেকোনো সময় ভেঙে গিয়ে ঘটে যেতে পারে বড় রকমের কোন দুর্ঘটনা।

আর এজন্যই ভবনটি ভেঙে ফেলার দাবি জানাচ্ছে এলাকাবাসী।এলাকার সচেতন লোকজন বলছে ঝুকিপূর্ণ ভবনটি এভাবে থাকলে ভবিষ্যতে যেকোনো সময় ভেঙে গিয়ে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে।তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান এখানকার মানুষ।

এ বিষয়ে ২নং হবিবপুর ইউপির স্বাস্থ্য পরিদর্শক গোষ্ট লাল দাসের সাথে যোগাযোগ করলে জাগোভাটি কে তিনি জানান, আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে পুরাতন ভবনটির অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করে রেখেছি। গোষ্ট বলেন, এর চেয়ে বেশি কিছু জানিনা।

এ ব্যাপারে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য প্রধান ডাঃ ফেরদৌস আক্তারের সাথে কথা বললে জাগোভাটিকে জানান, শাল্লা উপজেলায় আমি নতুন যোগদান করেছি , এই মূর্হুতে ২ নং হবিবপুর ইউপির পরিত্যক্ত ভবনটি সম্পর্কে আমি তেমন কিছু বলতে পারব না।

ফেরদৌস জানান, আমার পূর্বের প্রধান কর্মকর্তা হয়তো পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য কোন লিখিত দিয়ে থাকতে পারে সে ব্যাপারে ও আমি নিশ্চিত না।

জাগোভাটি /আআ/ পা আ/১৪-১০-২০/