সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনা

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২০, ২:৫৭ অপরাহ্ণ


জাগোভাটি ডেস্ক::সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশের খেটে খাওয়া, অসহায়, বঞ্চিত এবং গ্রামে-গঞ্জে থাকা মানুষদের সেবা করাই সরকারি কর্মচারীদের সব থেকে বড় দায়িত্ব। তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, এই দেশের গরিব মানুষ যারা এখনও তৃণমূলে পড়ে আছেন, তারাই এদেশের মালিক। আর তাদেরই ঘর থেকে সবাই লেখাপড়া শিখে আজকে উঠে এসেছেন। কাজেই সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই তাদের সেবা করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ৭০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও সাতটি বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা এ দেশের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। কিন্তু তার যে স্বপ্ন ছিল— ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার, তা তিনি করে যেতে পারেননি। কাজেই সেই কর্তব্য এখন সবার। এই দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে জনগণের সেবা করবেন। জনগণের সেবার জন্যই আজকে আপনারা উপস্থিত হয়েছেন, প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।’

এ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে বলা কথাগুলো উল্লেখ করেন তার মেয়ে শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি কোট করছি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আপনি চাকরি করেন, আপনার মাইনে দেয় ওই গরিব কৃষক। আপনার মাইনা দেয় গরিব শ্রমিক, আপনার সংসার চলে ওই টাকায়। আমি গাড়িতে চড়ি ওই টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলেন, ওদের ইজ্জত করে কথা বলেন। ওরাই মালিক।’ প্রশিক্ষণ নেওয়া কর্মচারীদের এ কথাগুলো মাথায় রেখে কাজ করার আহ্বান জানান সরকার প্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যতটুকু আমরা যা করতে পারছি, সবকিছুর ভিত্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান করে গেছেন। আমাদের নিজস্ব প্রশাসন হবে এবং সেই প্রশাসনের কার্যক্রম চলবে— এটাও কিন্তু তিনি নিজেই সৃষ্টি করে গেছেন। তার হাতেই গড়া প্রতিটি ক্ষেত্র। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা কিন্তু পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘করোনাভাইরাস শুধু বাংলাদেশ না, সারা বিশ্বটাকেই যেনো স্থবির করে দিয়েছে। তার মাঝেও আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রশাসন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক-সামাজিক সব ধরনের অবস্থানগুলো যেনো অব্যাহত থাকে, আমাদের মানুষ যেনো সেবা পায়, মানুষের যেনো ভোগান্তি কম হয়।’ সে লক্ষ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আআহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

জাগোভাটি/আআ/১৫-১০-২০/