খুচরা বাজারে আলুর দাম পুনর্নিধারণ হচ্ছে

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২০, ৫:৪৪ অপরাহ্ণ

জাগোভাটি ডেস্ক:খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কৃষিমন্ত্রী এ কথা জানান। প্রতিকেজি আলুর দাম ৩৫ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হতে পারে বলেও জানান তিনি ।

 

মন্ত্রী বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টায় খামারবাড়িতে কৃষি বিপণন অধিদফতরে আড়ৎদার, খুচরা ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে আলুর দাম পুনর্নির্ধারণ করা হবে।

গত ৭ অক্টোবর প্রতি কেজি আলুর দাম কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা বেধে দেয় কৃষি বিপণন অধিদফতর। এই দাম নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা র্নিধারিত এই দামের বিষয়ে আপত্তি জানায় ।

আগের বছর কৃষকরা আলুর দাম পায়নি, সরকার চেষ্টা করেও দাম বাড়াতে পারেনি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এতে আলু চাষের এলাকা কমেছে, উৎপাদনও কিছু কম হয়েছে। এর মধ্যে কোভিড মহামারি আসল। আমাদের এবার লক্ষ্য ছিল আলুর দাম বাড়ানোর জন্য। দাম বাড়াতে গিয়ে এমন একটা বিপর্যয়কর অবস্থা হবে, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ, রিকশাওয়ালা-ভ্যানওয়ালা, শ্রমিক তাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। এত দাম চিন্তাই করা যায় না। ৫০ টাকা কিংবা এরও বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এটা (নির্ধারিত দাম) পুনর্বিবেচনা করছি। পর্যালোচনা করে, মাঠ থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে। যে দামে মোটামুটি একটা লাভ হয়। কোল্ড স্টোরেজ, পাইকারি ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ী, তাদের লাভ ধরে মূল্য অবশ্যই বাড়াতে হবে। দাম পুনর্নির্ধারণের পর আমরা আবার মনিটরিং করব, এটা কঠোরভাবে দেখার চেষ্টা করব।’

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আশা করি, নতুন আলু আসলে দাম কমে যাবে। এবার আলু অনেক হবে। আলুতে আমাদের ঘাটতি থাকার কোনো কারণ নেই। আমাদের পর্যাপ্ত আলু হয়। আশা করি, ভবিষ্যতে এই সমস্যা হবে না। আমরা এখনও চিন্তা করছি যে, আলু কীভাবে রফতানি করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘এই বিপর্যয়ের জন্য আমরা খুবই দুঃখিত। স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্ট করছে।’

দেশে আলুর চাহিদা ৮০ থেকে ৯০ লাখ টন। ১৫ থেকে ২০ লাখ টন আলু আমাদর উদ্বৃত্ত থাকে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।