দিরাইয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২০, ৯:০৪ অপরাহ্ণ
দিরাই প্রতিনিধিঃ দিরাইয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার ( ২৩ অষ্টোবর) বেলা ২ টার দিকে উপজেলার জগদল ইউনিয়নের রায়বাঙ্গালী গ্রামে আ. মালিক-ইউপি সদস্য মনু মিয়া ও জাহির আলী-বুরহান মিয়ার লোকজনদের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন জাহির আলী-বুরহান মিয়ার পক্ষের আব্দুল মতিনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২০), আলম উল্লাহর ছেলে জগলু (২৫), হারুন মিয়ার ছেলে নুর আলম (২৫), ফরুক মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন (৩৩), সারজুল (১৮), আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে ইকবাল মিয়া (১৮), জরিপ উল্লাহর ছেলে ফারুক মিয়া (৪০)। এরমধ্যে গুরুতর আহত তরিকুল ইসলাম ও জগলু মিয়া কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বাকী আহতদের দিরাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
 আব্দুল মালিক – মনু মিয়া পক্ষের আহত মাহমদ আলীর ছেলে টিপু মিয়া (৩৫), ফজর আলীর ছেলে শ্যাম মিয়া (৪০), সইফুল্লার ছেলে মায়াদ (৪৫) কে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানায়ায়, আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে রায়বাঙ্গালী গ্রামের আব্দুল মালিক-ইউপি সদস্য মনু মিয়া ও একই গ্রামের জাহির আলী-বুরহান মিয়ার লোকজনদের মাঝে মাঝে মামলা হামলার ঘটনা ঘটে আসছে। শুক্রবার বেলা ২ টার দিকে গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসার জমি ইজারা দেওয়া কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মাঝে বাকবিতণ্ডায় হয়, এরই জের ধরে আব্দুল মালিক-মনু মিয়ার লোকজন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র সহ অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
জাহির আলী জানান, কিছুদিন আগে গ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ মনু মেম্বারের দুইজন লোক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই গ্রামের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য পায়তারা শুরু করে। আজকে মসজিদের জমি ইজারা নিয়ে পরিকল্পিতভাবেই মনু মিয়ার লোকজন আমাদের লোকের ওপর অবৈধ অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে দুইজন গুলিবদ্ধ হয়ে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।  বাকিরা দিরাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 
অপরপক্ষের ইউপি সদস্য মনু মিয়া জানান, বুরহান মিয়ার ও আব্দুল মালিকের লোকজনের সাথে মসজিদের জমি ইজারা নিয়ে কথার কাটাকাটির এক র্পযায়ে হাতাহাতি হয় । বোরহান মিয়ার পূর্বপরিকল্পিতভাবে আব্দুল মালিকের লোকজনকে ফাসানোর জন্য নিজের লোকদের যখম করে ঘটনা ভিন্ন খাতে নেয়ার চেস্টা করছে। তিনি আরো জানান জাহির আলী গংরা ২০১৫ সালে প্রতিপক্ষকে ফাসানোর জন্য চমক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলো। তিনি জানান আজকের ঘটনায় কোনো গুলাগুলির ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার নাজিয়া ইসলাম জানান গুরুতর আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় দুইজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গ্রামে ছোটখাটো সংঘর্ষের খবর পেয়েছি, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাগোভাটি/প্র সা/২৩-১০-২০