ধর্ষণ মামলা তুলে না নিলে বাড়িঘর দখলের হুমকি ধর্ষকের. নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২০, ৭:৫২ অপরাহ্ণ

 নিজস্ব প্রতিবেদক:: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে তিন সন্তানের জননী ধর্ষণ মামলা দায়ের করে বিপাকে পড়েছেন র্ধষিতার পরিবার ।্ম    বাদী ও তার মা কে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে ধর্ষক আব্দুল খালিছ। এঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ধর্ষিতা নারীর মা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য শরিফুল বেগম জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ এলাকাবাসী ও ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর পরিবারের  মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী একজন সহজ সরল কর্মক্ষমহীন লোক হওয়ায় বিয়ের পর থেকে স্বামী কে নিয়ে গৃহবধূ বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। এসুবাদে গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি আবদুল খালিছ গৃহবধূকে প্রেমের প্রস্তাব দেন।এতে রাজি না হওয়ায় গত ৩ এপ্রিল রাতে গৃহবধূ কে একা পেয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে না জানালে আবদুল খালিছ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। গৃহবধুর ঘর থেকে কৌশলে তাদের ভোটার আইডি কার্ড, বিয়ের কাবিননামা ও জায়গার জমির কাগজপত্রসহ নগদ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। ব্ল্যাকমেইলিং মাধ্যমে ইচ্ছের বিরুদ্ধে একাধিকবার গৃহবধুকে ধর্ষণ করে। গত ৯ অক্টোবর রাতে ঘরে ডুকে আবদুল খালিছ তার স্বামী সন্তানদের এক ঘরে আটকে রেখে গৃহবধুকে আবারো জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গৃহবধুর মা সংরক্ষিত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যা শরিফুল বেগম জানান, ৫ সন্তানের জনক আব্দুল খালিছ একজন লম্পট ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তার ভয়ে কেউ কথা বলে না।আমার মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে। এঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় এজহার দাখিল করলে পুলিশ তদন্তে নামে।পরে ঘটনাস্থল নবীগঞ্জ হওয়ায় জগন্নাথপুর থানা পুলিশ নবীগঞ্জে মামলা দায়েরের পরামর্শ দিলে আমীর মেয়ে বাদী হয়ে হবিগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর থেকে ধর্ষক আব্দুল খালিছ বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং আমাকে ও আমার মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি ও বাড়ি ঘর জোর পূর্বক দখল করে নেয়ার হুমকি দিয়ে বলে তিনি জানিয়েছেন। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান জানান,অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া

জাগোভাটি/২৪-১০-২০