সংবাদ প্রকাশের পর প্রতারক কবিরাজ আহাদুরের বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১০:৪৪ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃনবীগঞ্জ ইমামবাড়ী বাজারে ভণ্ড কবিরাজের প্রতারনা আর অপকর্মের সংবাদ ‘হবিগঞ্জের মুখ’ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর থেকে নিজেদের বাচাতে বিভিন্ন রাজনীতি ব্যক্তি ও স্থানীয় প্রভাবশালী দের দোয়ারে দৌড়ঝাঁপ শুরু করছে প্রতারক আহাদুর ও তার সহযোগীরা।এমন কি আস্তানা পরিবর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এদিকে এই ভন্ড কবিরাজের অপকর্মের সংবাদ প্রকাশের জন্য জনসাধারন হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও সমাজের এইসব অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য,বেশ কিছুদিন যাবত হবিগঞ্জ- নবীগঞ্জ সড়কের ইমামবাড়ি বাজারে আহাদুর শাহ নামে এক ভন্ড কবিরাজের আবির্ভাব হয়েছে। স্থানীয়

সাধারণ মানুষের কাছ থেকে গ্যারান্টি সহকারে অভিনব কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জানাগেছে

প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্হান থেকে সহজ সরল মানুষ তার নিয়োজিত দালালের মাধ্যমে আস্তানায় আসে।সরলমনা রোগীদের বিশেষ জ্বিন দ্বারা জওয়াব সওয়ালের মাধ্যমে তাবিজ, কবজ ও পানি, তেল, ঝাড় ফুক দিয়ে থাকে কৌশলে।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, গত ৩ বছর সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে এ ব্যবসার সাথে করে আসলেও তার বিরুদ্ধে অজ্ঞাত কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

তার আস্তানায় প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার জ্বীনের মাধ্যমে মানুষের বিভিন্ন সমস্যার প্রশ্ন-উত্তরের নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

সরজমিনে ভুক্তভোগিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আহাদুর মিয়া রোগ সারানোর নাম করে কোনো কোনো রোগীর কাছ থেকে ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়।শুধু তাই নয় মনের মানুষকে কাছে পাইয়ে দেবার কথা বলে যুবক যুবতীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। ধার্য্যকৃত মূল্য হিসেবে কাছে এনে দিতে হয় হাদিয়াবাবত ২৪ ঘন্টায় ১ লক্ষ টাকা, ৪৮ ঘন্টায় ৫০ হাজার টাকা, ১৪ দিনে ১২ হাজার টাকা।

সরজমিনে খবর নিয়ে জানা গেছে, ইসলামি শিক্ষা বা স্কুল শিক্ষা তার নূন্যতম যোগ্যতাও নেই। আলাপ কালে আহাদুর মিয়া জানায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই,। তিনি নিজের নামও লিখতে পারে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক ভক্ত জানায়, গত ৩ বছরে তার ব্যবসার ডালপালা বেড়েছে। এখন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন রোগি আসে।

রোববার দুপুরে তার আস্তানায় গিয়ে দেখা যায়, তার আসনের উপর সাজানো রয়েছে বিভিন্ন গাছের চাল, ডাল, জড়, হরিণের চামড়া। মাটিতে পড়ে থাকা ওষুধের অপরিচ্ছন্ন বোতল। যেগুলো ব্যবহারে মানবদেহে ক্ষতি সাধন হতে পারে।

এসময় এক ভুক্তভোগী দম্পতি জানান, আমাদের কোনো সন্তান না থাকায় আহাদুর মিয়ার কাছে চিকিৎসা নিতে আসি।সন্তান পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ১ম দফায় ১১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে আরও লাগবে বলে জানায়। ভুক্তভোগী জনসাধারণ গন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি জানান, তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আমরা বিরুদ্ধে ব্যবস্থা