ছাতকে তরুণীর চক্রান্তের ফাঁদে ইউপি সদস্য মকসুদুল- প্রতিবাদে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২০, ৩:৪৮ অপরাহ্ণ

ছাতক প্রতিনিধি:: ছাতক সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা মকসুদুল হাসান আতরের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেছে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। একটি সাজানো ও ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাফিজ আলী ও সাধারন সম্পাদক নজমুল হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ দাবী করেছেন।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের টানা তিন বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য, বাউসা গ্রামের আছন আলীর পুত্র মকছুদুল হাসান আতর এলাকার অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন মানুষ। ৮ নং ওয়ার্ডে অপ্রতিদ্বন্দ্বি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে উঠায় তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠেছে একটি অশুভ চক্র।এ কু-চক্রিমহল বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব চক্রান্তে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাও এসে জোট বেঁধেছে তাকে পরাস্থ করার জন্য। একজন মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে এবং সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের আস্তাভাজন আতর মেম্বার সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে এলাকার উন্নয়নে ও দলের হয়ে কাজ করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।

জনপ্রিয় এ জনপ্রতিনিধি নিজের বিভিন্ন সমস্যার কারনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেননি। ইতিমধ্যেই জীবনের ৫৫টি বছর অতিবাহিত করেছেন এ জনপ্রতিনিধি। জীবন সায়াহ্নে তিনি শুধু ওয়ার্ডবাসীর উন্নয়নের স্বপ্নে বিভোর রয়েছেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা বার-বার ষড়যন্ত্রের জালে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। অবশেষে আতর মেম্বারের নিঃসঙ্গতাকে পুঁজি করে ওই কু-চক্রি মহল নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং তার জনপ্রিয়তা নস্যাৎ করতে একটি নারী সংক্রান্ত বিষয়ে তাকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়।

নেতৃবৃন্দ এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ইউপি সদস্য মকছুদুল হাসান আতরের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেছেন। এদিকে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর মধ্য রাতে ইউপি সদস্য মখসুদুল হাসান আতরের নিঃসঙ্গতা ভেঙ্গে দিতে তার বাড়িতে ২১ বছর বয়সী এক তরুনীর আর্বিভাব ঘটে। গভীর রাতে ৩ জন অচেনা পুরুষের সাথে আসা ওই তরুনী ইউপি সদস্য মকসুদুল হাসান আতরের দরজায় নক করে ঘরে প্রবেশ করেই স্ত্রীর দাবীতে অবস্থান নেয়। এসময় আতর মেম্বার ঘরে না থাকলেও তরুনীর এ দাবী শুনে পরিবারের অন্যান্য লোকজন হয়ে পড়েন বাকরুদ্ধ। আকিজ ফুড এন্ড বেভারিজ কারখানায় শ্রমিকের চাকুরীচ্যুত এ তরুনীর বিভিন্ন অপকর্মের কারো অজানা নয়। বিয়ের দাবী করা ওই তরুনীর অসঙ্গতীপূর্ন কথাবার্তায় তখনই বুঝা গেছে কারো পরামর্শে কিংবা অর্থের বিনিময়ে সে এ পথ বেচে নয়েছে। তরুনীর দাবী মতে, ৭ বছর আগে ইউপি সদস্যের সাথে তার পরিচয় ঘটে। এ পরিচয়ের সূত্র ধরেই ইউপি সদস্যের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক। একদিন দুপুরে শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে খাবাার দাওয়াতে আসলে তাকে খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তাকে অজ্ঞান করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষন করে। কিন্তু দিন-দুপুরে কোন রেষ্টুরেন্টে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা গোপন করা সম্ভব হতো না।

এখানেই সাজানো এ নাটকের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে। এলাকার লোকজনও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষরা ওই তরুনীকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবাহার করতে চায়। বিষয়টি সুষ্টভাবে তদন্ত করা হলে এর আসল রহস্য বেরিয় আসবে বলে তিনি দাবী করেছেন। মকসুদুল হাসান আতরের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ছেন ইউপি সদস্য সুলতান মিয়া, আব্দুল মালিক, আব্দুস ছালাম, আতাউর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য দুলাল সরকার, আব্দুস সহিদ, আবুল কালাম, আওয়ামীলীগ নেতা হায়াত উল্লাহ, সামছুল ইসলাম, গোলাপ মিয়া, আয়াজ আলী, আলী হোসেন, নওশা মিয়া, শিশির রঞ্জন দাস, ফয়ছল আহমদসহ নেতৃবৃন্দ।

জাগোভাটি /আআ/৪-১১-২০২০/