মৃতকে জীবিত দেখিয়ে দেওয়া ইউপি চেয়ারম্যানের সনদ জালিয়াতি ফাঁস- আদালতের হস্তক্ষেপ

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২০, ১০:৩৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান  এবং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আছাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মৃত্যু সনদ জালিয়াতির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।

এলাকার মানুষ সহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ১৮ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারী মারা যাওয়া মৃত আব্দুল মন্নান কে ২০-০২-২০২০ তারিখ মারা গেছেন মর্মে মৃত্যু নিবন্ধন দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ তদন্তে এ জালিয়াতি ও প্রতারণার বিষয়টি প্রমানিত হয়।

জানা গেছে, উপজেলার শালিয়ারগাঁও মৎস্যজীবি সমবায় লিমিটেডের সভাপতি সুবোধ বিশ্বাস জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মৃত্যু সনদ জালিয়াতির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

পরে আদালত (সি,আর,মোকদ্দমা নং ৬৫/২০২০) মামলাটি আমলে নিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য দিরাই থানায় প্রেরন করেন।

পরবর্তীতে দিরাই থানা পুলিশ দীর্ঘ তদন্তের পর গত মাসের ২৬ অক্টোবর আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হত মাসের ২৭ তারিখে আদালত চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ও ইউপি সদস্য আছাদ চৌধুরী কে আগামী ২৩ নভেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

জানা যায়, চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ও ইউপি সদস্য আছাদ চৌধুরী পরস্পর যোগসাজশে অন্যায় ভাবে লাভবান হওয়ার মানসে বরইতিয়ার মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সদস্য উপজেলার বরইতিয়র গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নানের নামে জাল মৃত্যু সনদ তৈরী করে জাল
জালিয়াতির অপরাধ করেছেন মর্মে আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোঃ ফজলুল হক।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম ‘জাগোভাটি’ জানান, বাদীর আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথাযথভাবে তদন্ত করে চার্জসীট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে সনদ জালিযাতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে স্বীকার করে ওসি জানান,বিষয়টি ভালভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান,মৃত আব্দুল মন্নানের ছেলে রুবেল মিয়া সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আছাদ চৌধুরীর স্বাক্ষর সহ ফরম নিয়ে আমার কাছে ,আসলে ইউপি সদস্য আছাদ চৌধুরীর সাথে আলাপ করে আমি স্বাক্ষর করি, এখন জানা যাচ্ছে ঐ ব্যাক্তি নাকি দুই বছর আগে মারা গিয়েছিল।

আদালতের সমন জারির সত্যতার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন,আগামী ২৩ নভেম্বর আদালতে জবাব দিব।এসময় জলমহালে নিজের মালিকানার বিষয়টি অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চেয়ারম্যানের বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়ে মামলার বাদী সুবোধ বিশ্বাস বলেন, চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ও মেম্বার আছাদ চৌধুরী জেনে শুনেই” হাওর বন্দের কুর ও ডাকবান” জলমহালটি তাদের অনুকূলে রাখতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বরইতর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সাধারণ
সম্পাদক আজির উদ্দিনের পক্ষ নিয়ে সমিতির সদস্য মৃত আব্দুল মন্নানের নামে জাল মৃত্যু সনদ প্রদান করে জলমহাল টি পাইয়ে দেন।

জাগোভাটি /আআ/প্র সা/৪-১১-২০/