করোনা মুক্তির কামনায় জ্বললো দীপাবলি’র প্রদীপ

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২০, ৭:৪৮ অপরাহ্ণ

জাগোভাটি ডেস্ক:;কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে হয়ে থাকে কালী বা শ্যামা পূজা। শনিবার (১৪ নভেম্বর) পালিত হচ্ছে শ্যামা পূজা আর রাতে অমবস্যার আধার দূর করতে প্রজ্জ্বলিত হয় প্রদীপ। একেই বলা হয় দীপাবলি। এবার করোনা মহামারীর থেকে মুক্তির কামনায় প্রজ্জ্বলিত হবে প্রদীপ।

হিন্দু পূরাণ মতে কালী দেবী দুর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তাঁরা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত। কালীপূজার দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন।

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘দেশ জাতি ও বিশ্ব থেকে করোনা মুক্তির কামনায় সন্ধ্যা ৬টায় সহস্র প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। এরপর পূজা শুরু হবে সাড়ে ৮টা থেকে।’

রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শ্যামাপূজা উদযাপিত হয় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে। দীপাবলী উৎসবের উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

রামকৃষ্ণ মঠের সহ-অধ্যক্ষ ও মিশনের সহ-সম্পাদক হরিপ্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, ‘শনিবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এখানে পূজা আরম্ভ হবে। রাত ৩টায় পুষ্পাঞ্জলি প্রদান এবং রাত ৪টায় হোম অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থবিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ভক্তরা পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করবেন।’

এছাড়া রমনা মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, সবুজবাগ থানাধীন শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরান ঢাকার রাধাগোবিন্দ জিঁও ঠাকুর মন্দির, পোস্তগোলা মহাশ্মশান, তাঁতী বাজার, শাঁখারী বাজার, বাংলা বাজারসহ বিভিন্ন মণ্ডপ ও মন্দিরে যথাযথ স্বাস্থবিধি মেনে শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

জাগোভাটি /আআ/১৪-১১-২০/