টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছে না প্রধানমন্ত্রী কাছে সাহায্যের আবেদন জগন্নাথপুরের মেধাবী ছাএী বৃষ্টির

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২০, ১১:১০ পূর্বাহ্ণ

 জগন্নাথপুর  প্রতিনিধি ::সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের এক মেধাবী ছাএী বৃষ্টি রানী দাস টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী কাছে সাহায্যে আবেদন করছে বৃষ্টি।

তার স্বপ্নছিলোলেখা পড়া শেষে বড় হয়ে ডাক্তার হবে এবং বাবা – মায়ের অভাবের সংসারের হাল ধরবে এমনটাই স্বপ্ন ইন্টার শ্রেনীতে অধ্যয়নরত মেধাবী স্কুলছাত্রী বৃষ্টি রানী দাসের ।

হঠাৎ যেন এক ঝড় এসে তার সব স্বপ্নকেই এলোমেলো করে দিলো। সে জগন্নাথপুর আদর্শ মহিলা কলেজের ছাএী।।।

প্রায় এক বছর আগে অসুস্থ হয়ে পড়া বৃষ্টি এখন অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই । তার কান্না দেখে কেউ চোখের জল মুছতে পাছেন না। তার   একমাত্র উপার্জনকম মা এখন অনেকটা হাপিয়ে পড়েছেন । দুই বছরের ছোট রেখে বাবা মারা যান, মা থাকে লালন পালন করে আলোর মুখ দেখাতে চেয়েছেন। তিনি জগন্নাথপুর বেসরকারি একটি ইস্কুলে দপ্তরি চাকরি করেন,তা দিয়ে সংসার চলে।

মা ও ধুকে ধুকে কাঁদছেন। জগন্নাথপুর হাসপাতালে চিকিৎসাদিন অবস্থায় আছেন বৃষ্টি। । এমন কি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন চিলো বৃষ্টি। হার্ট ছিদ্র হওয়ার পাশাপাশি লিভারের অনেকটা ড্যামেজ হয়েছে তার। বৃষ্টির স্বজনরা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা বলেছেন অপারেশনের জন্য ১০লক্ষ টাকা লাগবে। পরে জোগাড় করতে না পাড়ায় বাসায় শুয়ে চাপা কান্না করতে হচ্ছে বৃষ্টি ও তার মার।

এখন সামাজের বৃত্তবান ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে মেধাবী এই শিক্ষার্থীর জীবন বাচবে এবং শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে পারবে বলে মনে করেন তার সহপাঠীরা।

জগন্নাথপুর থানাধীন পৌর সভার ৭ নং ওয়ার্ডের হবিবনগর গ্রামের মিটু রানী দাসের এক মেয়ে বৃষ্টি। বাবা খোকন দাস মেয়েকে দুই বছরের ছোট রেখে মারা যান।

বৃষ্টির চিকিৎসার জন্য ভিটেবাড়ি ছাড়া সবকিছুই বিক্রি করে সহায় সম্ভল হারাতে হয়েছে মার।
স্থানীয় স্কুলে দপ্তরী চাকুরী করে মেয়ের চিকিৎসা এবং মেয়েদের পড়াশুনাসহ সংসারের কাজ পরিচালনা করতেন মা মিটু । স্বামী মারা যাওয়ার পর কষ্ট করে সংসারের হাল ধরেন তার মা মিটু। মার চাকুরীর সামান্য বেতনের টাকা দিয়ে বৃষ্টির চিকিৎসা সংসার পড়াশুনাসহ সংস্থারের সব খরচ চলছিল। এক বছর আগে বৃষ্টি অসুস্থ্ হয়ে পড়লে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন অনেকটা অর্থহীন হয়ে পড়েছে পরিবারটি।

দশ লক্ষ টাকার জন্য মেধাবী এই্ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিতে পাড়ছে না। বৃষ্টির সহপাঠী ও শিক্ষকরা , বাজারে বাজারে সাহায্য তুলছেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ বৃষ্টি পরিবার দরিদ্র হওয়ার কারনে ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারছে না। দেশের বৃত্তবানরা তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে বাঁচতে পাড়তো সহপাঠী বৃষ্টি। জগন্নাথপুর আদর্শ মহিলা কলেজের শিক্ষক আব্দুল মুকিত জানান,সে একজন মেধাবী ছাত্রী। সে ক্লাসে সব সময় ভালো ফলাফল করেছে। । বৃষ্টি পিএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, টাকার অভাবে একজন মেধাবী ছাত্রীকে হারানোর আশঙ্কা করছি।,

তার এক সহ পাঠি মুক্তি রানী বলেন বৃষ্টি নামের মেয়েটি খুবই মেধাবী। শুনেছি তার লিভার ড্যামেজ ও হার্ট ছিদ্র হয়ে গেছে। সাধ্য মতো ব্যক্তিগত ভাবে সহযোগীতা করা হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন । দেশের সব শ্রেণী পেশার মানুষ মানবিক হাত বাড়িয়ে দিলে মেধাবী একজন স্কুল ছাত্রীর জীবন বাঁচবে এবং শিক্ষকার আলো ছড়িয়ে পড়বে। বৃষ্টির জীবন বাঁচানোর জন্য তার মা মিটু রানী দাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের বৃত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। বৃষ্টি রানী দাস হাসপাতালে বেডে শুইয়ে শুইয়ে কান্না করে বলছে, আমাকে বাচান,আমি লেখা পড়া করতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে  আকুল আবেদন আপনার মেয়ে মনে করে আমাকে বাচাঁন।বৃষ্টির কান্নায় হাসপাতালে সব শ্রেনীর ও ডাক্তারদের কান্না চলে আসে।

জগন্নাথপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মধু সুধন বলেন, মেয়েটি মেধাবী শিক্ষার্থীরা, তার কান্নায় আমাদের কান্না আসে। কিন্তুু তার চিকিৎসা জন্য বেবহুল অর্থ প্রয়োজন,, দেশের বাহিরে চিকিৎসা করাতে হবে।

জাগোভাটি /আআ/গ /১৭-১১-২০/