সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়াসহ ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে দিরাইয়ে হত্যা মামলা!

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২১, ৭:৪৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক ::সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের দুইপক্ষের আধপিত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষে আহত শিরু মিয়া তালুকদার নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রায় ২৫ দিন পর সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া সহ ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়ছে।

মঙ্গলবার(১৬ নভেম্বর) দিরাই থানায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে। মামলা নং ০৫।নিহতের ভাতিজা মোঃ শরিফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুর রহিম নালিশা র্বণিত অভিযোগটি এফ আই আর গণ্যে রুজু করত: তদন্তর্পুবক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দিরাই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন  আমল গ্রহনকারী জুডসিয়িাল ম্যাজিষ্ট্রেট ।

 দিরাই থানার অফিসার ইনর্চাজ(ওসি) আজিজুর রহমান আদালতে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলাটি রুজু করা হয়েছে।মামলা টির তদন্তভার এস আই জাহাঙ্গীরকে দেয়া হয়েছে।দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া কে মামলায় প্রধান আসামী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে ।

স্থানীয়রা জানান, গত পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মোশারফ মিয়া বিদ্রোহী র্প্রাথী হয়ে নর্বিাচন করলে দল থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়, কিন্তু তিনি দলীয় এবং মন্ত্রীর লোক পরচিয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব সৃষ্টি করে নানা অপর্কম চালয়িে যাচ্ছনে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মোশাররফ মিয়া প্রভাবশালী মহলের মদদপুষ্ট লোক হওয়ায় কোন লোক তাহার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায়না।

উল্লখ্যে,গত ১৮ অক্টোবর দুপক্ষরে সংর্ঘষরে ঘটনাস্থলেই রুহেদ মিয়াসহ দুইজন নিহত হন এবং আহত হন র্অধশত লোক। ঘটনার দিন নিহত হন ভাটপিাড়া গ্রামরে আব্দুস সহিদের ছেলে রুহেদ মিয়া (৪৫)। তিনি কাজল নুরের পক্ষের লোক। ঘটনার ৫ দিন পর ২৩ অক্টোবর সংর্ঘষের ঘটনায় আহত শিরু মিয়া তালুকদার নামে আরেকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি ভাটিপাড়া নয়াহাটি গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর পুত্র।নিহত শিরু মিয়া রুবলে মেম্বার ও শাহ আলম দ্বীপের পক্ষের লোক। ঘটনার দিন রুহেদ মিয়া নিহতের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়সহ ৭৩জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন নিহতের সহোদর সুয়েদ মিয়া।

ভাটিপাড়া গ্রামের র্পাশ্বর্বতী উদীর হাওড়ে মেঘনা বারঘর জলমহাল নিয়ে র্দীঘদিন ধরে কাজল নুর গ্রুপ এবং রুবেল মেম্বার ও শাহ আলম দীপ গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন ভাটিপাড়া গ্রামের কাজল নুর গ্রুপের লোকজন কাটি বাঁধ দিয়ে মাছ ধরতে গেলে জলমহাল গ্রুপের মালিক পক্ষ রুবেল মেম্বার ও শাহ আলম দ্বীপের লোকজন বাধা দিলে সংর্ঘষ শুরু হয়। এ সময় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। সংর্ঘষের এ ঘটনায় বহু হতাহতরে ঘটনা ঘটে।