তাহিরপুরে ঋণ দেয়ার নামে প্রতারণা:আটক ৩

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ৮:০৬ অপরাহ্ণ

তাহিরপুর প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে অর্ধেক মুল্যে রেশন ও ঋণ দেয়ার নামে প্রতারণা মূলকভাবে সাধারন লোকজনকে সদস্য করে সঞ্চয়-জামানত আদায়ের অভিযোগে‘চলনবিল ডেভলপমেন্ট সোসাইটি’নামে একটি ভুইফোড় সংস্থার তিন প্রতারককে আটক করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ। ‘আটককৃতরা হলেন,বরিশাল জেলার উজিরপুর পৌর শহরের আবু হোসেনের ছেলে এসএম মনিরুজ্জামান, গাজীপুর জেলা শহরের দক্ষিণ খাইলকুরের রমেশ চন্দ্র সরকারের ছেলে সুজন চন্দ্র সরকার, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার আব্দুল বারেকের ছেলে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মো. মাসুদ মিয়া।

রবিবার বিকেলে বিক্ষুদ্ধ জনতার রোশানাল হতে বাদাঘাট এলাকার কামড়াবন্দ ব্রাঞ্চ অফিসে অবরুদ্ধ অবস্থায় তিন প্রতারককে আটক করে থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাহিরপুর থানায় প্রেরণ করেছে।, প্রতারণার শিকার স্থানীয় মহিলারা জানান,চলনবিল ডেভলপমেনট সোসাইটি নামে একটি ভুঁইফোড় সংস্থা রাজধানী ঢাকার ডেমরার ঠুলঠুলিয়া এলাকায় প্রধান কার্যলায় দেখিয়ে উপজেলার বাদাঘাটের কামড়াবন্দ গ্রামে কয়েক মাস পুর্বে একটি ব্রাঞ্চ অফিস ভড়া নেয়। এরপর স্থানীয় কয়েকজন বেকার যুবক যুবতীকে মাঠকর্মী হিসাবে নিয়োগ দিয়ে এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের সহজ সরল মহিলার নিকট হতে অর্ধেক মুল্যে রেশন,ঋণ দেয়ার নামে প্রতারণামুলক ভাবে সদস্য ফি ও জামানত হিসাবে টাকা আদায় করতে থাকে। সাড়ে তিন শতাধিক মহিলার নিকট হতে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার নামে সদস্য ফি বাবত ১৩০ টাকা,অর্ধেক মুল্যে রেশন দেয়ার নামে আরো ২৮ জনের নিকট হতে ১০০০ হাজার করে জামানতের টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

পরবর্তীতে দিনের পর দিন মহিলারা ব্রাঞ্চ অফিসে ধরনা দিয়ে রেশন, ঋণ না পেয়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। রবিবার দুপুরে চলবিলের ডেভলপমেন্ট সোসাইটির ঋণ প্রদানকারি অফিসার পরিচয়ধারী (লোন) এসএম মনিরুজ্জামান, মার্কেটিং অফিসার পরিচয়ধারী সুজন চন্দ্র সরকার, মাঠকর্মী স্থানীয় মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মো: মাসুদ মিয়া অর্থ আত্বসাৎ করে পালিয়ে যেতে পারেন এই খবর চড়াও হলে সদস্য ফি ও জামানত প্রদানকারি মহিলারা এলাকার লোকজনকে নিয়ে ব্রাঞ্চ অফিসে ওই তিন করিৎকর্মাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এরপর তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রায়হান কবিরের নির্দেশে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান মো.আফতাব উদ্দিনের সহযোগিতায় বিক্ষুদ্ধ জনতার রোশানল হতে ব্রাঞ্চ অফিস হতে অবরুদ্ধ অবস্থায় আটক করে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মো.জয়নাল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,আপাতত আটকৃতদের থানায় প্রেরণ করা হয়েছে,প্রতারণার শিকার মহিলাদের পক্ষ হতে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।