উন্নয়ন প্রকল্প কাজে বিভ্রান্ত মূলক অপপ্রচার মোটেই কাম্য নয়: প্রেস ব্রিফিংয়ে মেয়র বিশ্বজিত

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১০:০৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই পৌরসভার প্রানকেন্দ্র বাজার ব্রিজ হতে সেনগুপ্ত ভবন পর্যন্ত চলমান প্রকল্প কাজের গুনগত মান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বিভ্রান্ত মূলক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রেস ব্রিফিং করেন পৌর মেয়র বিশ্বজিত রায়।

বরিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে পৌর মেয়রের অফিস কক্ষে নির্মাণাধীন আর,সিসি রাস্তা নির্মান প্রকল্পের সঠিক ও বাস্তব চিত্র উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন কর হয় ।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৌর মেয়র বলেন,আপনারা জানেন যে বিগত ১৩ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে দিরাই পৌরসভাধীন বাজার ব্রীজ হইতে সেনগুপ্ত ভবন পর্যন্ত আর,সিসি রাস্তা নির্মান (০.০০মি:হইতে ২৩৭.৮০ মি) প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি দরপত্রের কার্যাদেশ মোতাবেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রায়হান এন্টারপ্রাইজ,প্রো: ফরহাদ করিম,চন্ডিপুর, দিরাই পৌরসভা,সুনামগঞ্জ প্রাপ্ত হয়ে রেডিমিক্স প্রক্রিয়ায় রাস্তার কাজ শুরু করেন।প্রকল্পের কাজ চলমান অবস্থায় কাজের গুনগত মান নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কিছু সংখ্যক ব্যাক্তি বিভ্রান্ত ছড়ানোর লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালায়,যা মোটেও কাম্য নয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের মাধ্যমে পৌরবাসীকে প্রকল্পের সঠিক ও বাস্তব চিত্র উপস্থাপনের জন্য আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি।লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল শাখার সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাস্তার এক অংশের কাজ সম্পন্ন হলে উপরের পৃষ্টে চিরফাটা পরিলক্ষিত হয়।যা প্রকৌশল ভাষায় প্লাষ্টিক সিংক্রেজ বলা হয়। যেকোন ঢালাই কাজে এরকম ছোট বড় প্লাষ্টিক সিংক্রেজ কমবেশী ঘটে থাকে, যাহার কারনে মূল স্টাকচারে কোন ক্ষতির প্রভাব পড়ে না। তারপরও অধিকতর সর্তকতাকল্পে উপরোক্ত সমস্যার জন্য মূল স্টাকচারে যাহাতে ভবিষ্যতে কোন ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে সেজন্য প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী রাস্তায় ব্যবহৃত কনক্রিট হতে তৈরীকৃত সিলিন্ডার ও কোর কাটিং এর মাধ্যমে ল্যাবটরির প্রাপ্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্য গ্রহন করা হবে বলে নিশ্চিত করেন।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে দিরাই পৌরসভার সচিব (অ.দা) সহকারী প্রকৌশলী হেলাল আবেদীন বলেন,এতে আমাদের দায়িত্বের কোন অবহেলা নাই। লোকমুখে যা বলা হয় তা সত্য নাও হতে পারে। আমাদের কাজ চলমান আছে যদি কেউ মনে করে আমাদের কাজে গাফলতি আছে তাহলে সচেতন কয়েকজন আসেন দেখেন যে মালামাল গুলোর স্তূপ হতে কমান্ড দেওয়া হয় তখন সেই মালামাল গুলো বেল্টের সাহায্যে মেশিনের ভিতর গিয়ে মিছকার হয়। সচেতন লোক গুলো দেখলে বুঝতে পারবে আমরা দায়িত্বে কোন অবহেলা করছি কিনা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু পাথর ভাইরাল হয়েছে যা পৌর কাউন্সিলর সহ অনেকেই মরা পাথর বলে দাবী করছে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আপনি কি মনে করেন পাথর গুলো ঠিক আছে এমন প্রশ্নের উত্তরে হেলাল আবেদীন বলেন,আমাদের ডিজাইন ফেসিফিকেশন অনুসারে ঠিক আছে। তিনি বলেন লোকমুখে অনেক কথাই বলা হয় কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন যেহেতু আমাদের কাজ চলমান রয়েছে তাই যে সব পাথর দিয়ে কাজ হচ্ছে তা আপনারা দেখে আসতে পারেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,প্যানেল মেয়র লিটন রায়,উপ-সহকারী প্রকৌশলী মলয় ভট্টাচার্য্য, কাউন্সিলর আশরাফ আহমদ, মোঃ রেজাউল করিম, জুয়েল মিয়া,রবীন্দ্র বৈষ্ণব,আবুল কাশেম,পংকজ পুরকায়স্থ অমরসহ পৌরসভার কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ।উপস্থিত ছিলেন,উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।