ছাতকে বয়স্ক ভাতাভোগীর টাকা আত্মসাৎর অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৩, ৫:৪৩ অপরাহ্ণ

 

 

 

 

 

ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকে বয়স্ক ভাতাভোগী এক ব্যক্তির টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন ইউপি সদস্য মাছুম আহমদ। তিনি ভাতগাঁও ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও আনুজানী গ্রামের চন্দন মিয়ার পুত্র। এ ব্যাপারে মাসুম আহমদের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতাভোগী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নরসিংপুর- বরাটুকা গ্রামের মৃত মেহের উল্লাহ’র পুত্র আব্দুন নুর বৃহস্পতিবার (১১ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরের জামান চৌধুরী বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে ইউপি সদস্য মাধ্যমে নরসিংপুর-বরাটুকা গ্রামের মৃত মেহের উল্লাহ’র পুত্র আব্দুন নুরের বয়স্কভাতা অনুমোদন করা হয়। ভাতা বহি নং ৮২, ক্রমিক নং ১৩০১৭৪ একাউন্ট নাম্বার ১১৬২৩২। ভাতা অনুমোদনের পর থেকে ইউপি সদস্য মাসুম আহমদ তা গোপন রেখে তিনি নিজেই জাল- জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ব্যাংক হিসাব অনুযায়ি ইউপি সদস্য মাসুম আহমদ ভাতাভোগি আব্দুন নুরের ১৯ হাজার ৪ শত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। ভাতাভোগি আব্দুন নুর (৮৫) জানান, তিনি ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, বয়স্ক ভাতার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ছবি সহ আনুসাঙ্গিক কাগজ পত্র ২০১৯ সালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। কিন্তু তার নামে বয়স্কভাতার কার্ড ওই সময়ই ইস্যু হয়েছে। তবে তা হয়েছে ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে। তার কার্ড দিয়ে নিয়মিত ভাতাও উত্তোলন করা হয়েছে। ইউপি সদস্য মাসুম আহমদ এসব কারসাজি করে ভাতার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি এ বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হলে গত ১৭ এপ্রিল মাসুম আহমদ তাকে ভাতার কার্ড বুঝিয়ে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মাসুম আহমদের সাথে কথা হলে তিনি জানান,শীঘ্রই বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে। একটি মহল এ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহ শফিউর রহমান জানান, আব্দুন নুরের জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে বয়স্কভাতার কার্ড ও ছবির মিল আছে। ৮ বা ৯ নং ওয়ার্ড এটি সংশোধন যোগ্য। বয়স্ক ভাতার টাকাও সময়মত পরিশোধ হচ্ছে। মালিক ছাড়া কেঊ কোনভাবে টাকা উত্তোলন করলে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরের জামান চৌধুরী অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।