কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন নেইমার

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ


বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এবার সেরা ফর্মে পাওয়া গেল লিওনেল মেসিকে। আর সেদিনই চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন নেইমার। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা একই দিনে মাঠে নেমেছিল আলাদা আলাদা ম্যাচে।

দুই দলে দুই চিত্র। মেসির জোড়া গোলে সহজেই পেরুকে ২-০ ব্যবধানে হারাল আর্জেন্টিনা। অন্য দিকে উরুগুয়ের কাছে একই ব্যবধান ২-০ গোলে হেরে গেল ব্রাজিল।

পায়ের পেশির চোটের কারণে আর্জেন্টিনা বা ইন্টার মায়ামি, কোনো দলের হয়েই ইদানীং ভালো ফর্মে দেখা যাচ্ছিল না মেসিকে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে তিনি খেলেননি। কিন্তু আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে স্বমহিমায় দেখা গেল তাকে।

৩২ মিনিটে প্রথম গোল করেন মেসি। বাঁ দিক থেকে নিকোলাস গঞ্জালেসেরে পাস থেকে চলতি বলে শটে জালে জড়ান। ৪২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল। এবার তাকে পাস দিয়েছিলেন এনজো ফের্নান্দেস। হ্যাটট্রিক করতে পারতেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তার গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।

অপর ম্যাচের প্রথমার্ধেই চোট পান নেইমার। বিরতির এক মিনিট আগে দৌড়াতে গিয়ে আচমকা পা ঘুরে যায় তার। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে ব্যথায় কাতরাতে থাকেন। উঠে দাঁড়ানোরই ক্ষমতা ছিল না। কোনো মতে স্ট্রেচারে করে তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঠ ছেড়ে বেরোনোর সময় কাঁদছিলেন নেইমার। তার সম্পর্কে ব্রাজিলের চিকিৎসক দল স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি।

দলের ডাক্তার রদ্রিগো লাসমার বলেছেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেখতে হবে ওর ব্যথা এবং পায়ের ফোলা কোন জায়গায় রয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষার পর সেটা বোঝা যাবে বলে আশা করা যায়। লিগামেন্টে চোট কি না, সেটাও পরীক্ষায়ই জানা যাবে।’ চোটের ফলে কতদিন ছিটকে যাবেন সেটাও বোঝা যাচ্ছে না।

ম্যাচের পর ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন নেইমার। লিখেছেন, ‘ঈশ্বর সব জানেন। আমার সেই বিশ্বাস রয়েছে।’ ম্যাচে উরুগুয়ের হয়ে গোল করেন ডারউইন নুনেজ এবং নিকোলাস দে লা ক্রুজ।